দেশজুড়ে প্রানঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২১ হাজার ৩৯৭ জনে। একই সময় শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৭৬ জন। যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন ১৫ হাজার ৭৭৬ জন, যাতে শনাক্তের হার ২৮.৫৪ শতাংশ। গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৫৪ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলছে, যা ১০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।