Monday, September 15, 2025
Homeজাতীয়ডিজেল বিক্রি বেড়েছে দিনে ২০০ টন

ডিজেল বিক্রি বেড়েছে দিনে ২০০ টন

মে মাসের চেয়ে জুলাইতে ডিজেল বিক্রি বেড়েছে প্রতিদিন গড়ে ২০০ টন। মে মাসে দিনে গড়ে ডিজেল বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ টন। আর চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৩ হাজার ৬০৭ টন ডিজেল বিক্রি হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় সম্প্রতি ডিজেল বিক্রি বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • বিপিসির তথ্য বলছে, প্রতি বছরের ১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ডিজেল বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮২ টন। দিনে গড়ে বিক্রির পরিমাণ ১৩ হাজার ৬০৭ টন। প্রতিদিন অকটেন গড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩১৪ টন।
  • দেশে তেল মজুত ক্ষমতা ১৩ লাখ ৮ হাজার ৪৭ টন। পরিশোধিত তেল সংরক্ষণের ক্ষমতা ৯ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৫ টন। গতকাল বুধবার পর্যন্ত তেলের মজুত রয়েছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৬ টন। এর মধ্যে ডিজেল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৬ টন, কেরোসিন রয়েছে ১৪ হাজার ১৭০ টন, পেট্রোল রয়েছে ২১ হাজার ৮৮৫ টন, অকটেন রয়েছে ১৩ হাজার ৯৪৪ টন, ফার্নেস অয়েল রয়েছে ৮৫ হাজার ৪০ টন, জেট ফুয়েল রয়েছে ৬৩ হাজার ১১ টন।
  • দিন হিসাবে ৩২ দিনের কাছাকাছি ডিজেল মজুত রয়েছে। অকটেন মজুত রয়েছে ৯ দিনের, জেট-এ-১ মজুত রয়েছে ৪৪ দিনের, পেট্রোল ১৫ দিনের ও ফার্নেস অয়েল মজুত রয়েছে ৩২ দিনের। তবে সংরক্ষণাগারে তলানিতে সব সময় কমবেশি ১০ শতাংশ তেল থেকে যায়। পেট্রোল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনের প্রায় ৪০ ভাগ বাংলাদেশ উৎপাদন করে।
  • সরকারের জ্বালানি নীতি অনুসারে ৬০ দিন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের মজুত গড়ে তোলার কথা। কিন্তু বর্তমানে দেশে মজুত ক্ষমতা ৪৫ দিনের। বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৬৫ লাখ টন, যার ৭০ শতাংশ ডিজেল।
  • বিপিসির তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি ছাড়া বিপণন প্রতিষ্ঠান, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মেইন ইনস্টলেশন, মোংলা অয়েল ইনস্টলেশন, গোদানাইল, ফতুল্লা, ইমার্জেন্সি ডিপো ঢাকা, দৌলতপুর, বাঘাবাড়ী, পার্বতীপুর, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, সাচনাবাজার, মোগলা বাজার, বরিশাল, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, ভৈরব, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, হরিয়ান, রংপুর, নাটোর, চিলমারী ডিপোতে তেল বিক্রির পাশাপাশি মজুত রাখা হয়।

বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দেশে ডিজেল, অকটেন ও জেট ফুয়েলের কোনো সংকট নেই। আগামী ছয় মাসের জ্বালানি তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে সবাই মিলে জ্বালানি সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে। রাজধানীসহ দেশের পেট্রোল পাম্পে সরবরাহ স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ব্যাংকের ঋণপত্র (এলসি) খোলার সমস্যা আপাতত মিটেছে বলে জানিয়েছেন বিপিসি চেয়ারম্যান।

দেশে তেলের মজুত ক্ষমতার চেয়ে কম থাকলেও তা নিয়ে শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিপিসি। সংস্থাটি বলছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ২ জাহাজে ৫০ হাজার টন তেল দেশে আসার কথা রয়েছে।

চলতি জুলাই মাসে ৯টি জাহাজ থেকে এরই মধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার টন ডিজেল, দুটি জাহাজে প্রায় ৪৩ হাজার টন জেট-এ-১, একটি জাহাজ থেকে ২৪ হাজার ৬৭৭ টন অকটেন এবং দুটি জাহাজ থেকে ৫৩ হাজার ৩৫৮ টন ফার্নেস অয়েল গ্রহণ করেছে বিপিসি।

আগস্ট মাসে ৮টি জাহাজে ২ লাখ ১৮ হাজার টন ডিজেল, একটি জাহাজে ২৫ হাজার টন জেট-এ-১, একটি জাহাজে ২৫ হাজার টন অকটেন আসবে।

বিপিসি জানিয়েছে, আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা অনুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ ভাগ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দেশে তেলের মজুত কমতে পারে- এমন ধারণা থেকে পেট্রোল পাম্পগুলোতে বুধবার সকাল থেকে তেল কেনার হিড়িক লাগে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাম্পগুলোতে গতকাল তেল নিতে বাইক ও কারের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। মালিবাগের একটি পাম্পে বাইকে তেল নিতে আসা মকবুল হোসেন বলেন, শুনলাম দেশে তেলের মজুত কমে আসছে। তাই আগেভাগে একুট বেশি তেল কিনে রাখতে পাম্পে এসেছি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments