সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিভুক্ত জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। শীর্ষে রয়েছে শ্রীলংকা, আর ভারতের অবস্থান তৃতীয়। এ ছাড়া এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) করোনাভাইরাস মহামারিকালে সামাজিক সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গত ৩১ আগস্ট ‘ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল প্রটেকশন রিপোর্ট ২০২১-২২’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়- বিশ্বজুড়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিস্তৃতি ঘটলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে অনেক দেশ সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার মতো মানবাধিকার বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। স্বাস্থ্য, চাকরি, আয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তাকেও সামনে আনা হয়। সুরক্ষার মধ্যে টিকাপ্রাপ্তির বিষয়টিকেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হয়েছে এবং সাময়িক কিছু কর্মসূচি হাতে নিতে হয়েছে। পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ ও ভর্তুকিও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ৪৫ শতাংশ (৫৪টি কর্মসূচি) বাস্তবায়ন করছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ভাতা কার্যক্রম রয়েছে ২৩টি। দেশে একমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা সর্বজনীন। ২৩ লাখ ৬৫ হাজার প্রতিবন্ধী মাসে ৮৫০ টাকা করে ভাতা পায়। বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৫৭ লাখ ১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পান। এ দুটি ভাতাই বিতরণ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।