আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ দুজনেই নিজ নিজ দলের পার্থক্য গড়ে দেয়া সুপারস্টার। আজ (মঙ্গলবার) রাতে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল, মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। মোখোমুখি হচ্ছেন দুই তারকা ফুটবলার মেসি-মদ্রিচ।
গত বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া যখন ফাইনালে উঠেছিল, অনেকের মতেই সেটা ছিল অপ্রত্যাশিত এবং অনন্য। এবার ক্রোয়েশিয়া আবারও ফাইনালের পথে।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত এক হারের পর আরও ক্ষুরধার, আর ও শক্তিশালী।টুর্নামেন্টের আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ফেভারিট ধরা হয়েছিল। লিওনেল মেসিরা তার প্রমাণ দিয়েছেন।
সেমিফাইনালের আগে আলোচনায় আছেন মেসি ও মদ্রিচ।
লিওনেল মেসি ও লুকা মদ্রিচ – দুজন এলএম টেন, পড়েন দশ নম্বর জার্সি, দুজনই ব্যালন ডি অর জয়ী, দুজনেরই আগে বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলে হারার অভিজ্ঞতা আছে, দুজনই নিজেদের দলের মূল ফুটবলার এবং অধিনায়ক।
দুজনের সামনেই সুযোগ আরও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা এবং এবার না পাওয়া সোনালি শিরোপা নিজেদের করে নেয়ার।
মেসি এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। গোল করছেন এবং করাচ্ছেন। প্রতিপক্ষের ফুটবলার, কোচকে সুযোগ পেলে এক হাত দেখে নিচ্ছেন। রেফারির সাথে তর্কে জড়াচ্ছেন।
মদ্রিচ একটু নিচে নেমে খেলছেন।তার খেলা ক্রোয়েশিয়ার ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছে।
মদ্রিচ ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রায়ই রক্ষণভাগে নেমে খেলেছেন।
যে গোলে ক্রোয়েশিয়া সমতায় ফিরেছিল সেই গোলেও মদ্রিচের লম্বা পাসের অবদান ছিল।
মেসির বয়স ৩৫, মদ্রিচের ৩৭। কাতারের এই বিশ্বকাপেই তারা সম্ভবত ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেলবেন।
মেসির দলে থাকাটাই সুবিধা, এমনটা মনে করেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস ট্যাগ্লিয়াফিকো।
আর্জেন্টিনা চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে মোট নয় গোল করেছে, যার মধ্যে ছয়টিতে লিওনেল মেসির প্রত্যক্ষ অবদান আছে। চারটি নিজে করেছেন, দুটি করিয়েছেন।