সাবেক মন্ত্রী কামরুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

0
92

ঢাকা-২ আসনের সাবেক এমপি ও খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া, দুদকের অনুসন্ধান টিম কামরুল ইসলামের স্ত্রী বেগম তায়েবা ইসলাম, ছেলে ডা. তানজীর ইসলাম ও মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক সম্পদের তথ্য পাওয়ায় তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কামরুল ইসলামের স্ত্রী তায়েবা ইসলামের সন্দেহজনক সম্পদ থাকতে পারে। এছাড়াও ছেলে ডা. তানজীর ইসলামের এক কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৫ টাকা এবং মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের এক কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। তাদের নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সাবেক মন্ত্রী কামরুলের নামে ছয় কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে, যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাবলিক সার্ভেন্ট ছিলেন এবং তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জন করেছেন, যার গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও কামরুল ইসলাম নিজ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ১৫টি হিসাবে মোট ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করেছেন। তিনি এই টাকা সন্দেহজনকভাবে হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করেছেন। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত ১৪ অক্টোবর দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে এবং ১৮ নভেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বিগত ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী ও ২০১৪ সালে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে তিনি প্রথমে সদস্য পদ লাভ করেন এবং পরবর্তীতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হলে দলের মধ্যে তার প্রভাব অনেক বৃদ্ধি পায়।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের পর তার বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য, বদলি ও খাদ্য আমদানিসহ বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে ২০১৫ সালের জুনে ব্রাজিল থেকে ৪০০ কোটি টাকা সমমূল্যের দুই লাখ টন পঁচা গম আমদানির ঘটনায় তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here