সচিবালয়ে আগুনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের কার্যালয় পুড়ে গেছে। সচিবালয়ের এ অগ্নিকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই ঘটনায় কোনো স্যাবোটাজ (নাশকতা) হয়েছে কি না, সরকারকে অবশ্যই তদন্ত করতে হবে। এসব কথা বলেছেন,আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘পলিসি বেজড পলিটিকস ও চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য পাঁচ প্রস্তাব’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি চট্টগ্রাম নগরীর আহ্বায়ক গোলাম ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সৈয়দ আবুল কাশেম প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় বারবার বলেছেন কোনো প্রমাণ পাবেন না আমাদের ব্যাপারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা ছিলেন জয়। হাজার কোটি টাকা লুটপাটের নায়ক তিনি। তার ডিপার্টমেন্ট (বিভাগ) পুড়ে গেছে।
আগামী সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে ফুয়াদ বলেন, জুন-জুলাই ও আগস্টের পরিবর্তনের ধরনটা বুঝতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক কর্মীরা খুনের শিকার হয়েছেন। গুম হয়েছেন। কিন্তু দিন শেষে সারা দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে আসেনি। এটাই সত্য। এটি মেনে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন একই প্যাকেজের অংশ। সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত হয়ে আছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক কমিশন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে। কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে। এটি করতে করতে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত যেতে পারে। তারপর নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুনঃ আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি
মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এবি পার্টির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো, নগর সরকার ও স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরকারি কোষাগারে জমা হওয়া মুনাফার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করা, কর্ণফুলী নদী ও খালগুলোর যুগোপযোগী সংস্কার এবং নগর সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়া, চট্টগ্রাম নগরকে ট্রেড কানেকটিভিটি হাব হিসেবে প্রস্তুত করা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পাহাড় পুনরুদ্ধার করা।