দুর্বার রাজশাহীর তাসকিনের দুর্দান্ত স্পেল

ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিলেন দুর্বার। ঢাকার স্কোরবোর্ডে ১৭০ এর বেশি রান উঠলেও দিনশেষে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবেন তাসকিনই। ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৭ উইকেট।

 

তাতে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হলো এই পেসারের নাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তাসকিন বদলালেন ইতিহাস। সঙ্গে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীও এখন তাসকিন।

দুর্বার রাজশাহীর তাসকিনের দুর্দান্ত স্পেল

যদিও এই রেকর্ডে তিনি শীর্ষে আছেন যৌথভাবে। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রুস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট। এদের পাশে ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি এখন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদের।

শুরুটা করেছিলেন লিটনকে দিয়ে। ৫ বলে শূন্য রান করে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর তাসকিন ফেরান তানজিদ হাসান তামিমকে। ঢাকার স্কোরবোর্ড এরপর সচল রেখেছিলেন শাহাদাত হোসেন দীপু। ৪০ বলে ৫০ করা দীপুকেও প্যাভিলিয়নে পাঠান এই পেসার। চতুরঙ্গ ডি সিলভা, আলাউদ্দিন বাবু আর মুকিদুল ইসলামকেও টিকতে দেননি।

এতেই তার নাম উঠে যায় বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারে। তবে জায়গাটা ভাগ করতে হচ্ছিল মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে। ইনিংস শেষের এক বল বাকি থাকতে তাসকিন নিলেন শুভাম রঞ্জানের উইকেট। তাতেই বাংলাদেশি পেসারের নামটা উঠল বিশ্বরেকর্ডের পাতায়।

তাসকিনের আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৬ উইকেট নেয়ার নজির ছিল সাকিব আল হাসানের। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)-এর ম্যাচে ৬ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here