মন্টেনিগ্রোতে এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। বলকান অঞ্চলের দেশটির একটি ছোট্ট শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী হামলাকারীর নাম আলেকজান্ডার আকো মার্টিনোভিচ। বুধবার বিকেলে সেতিনজে একটি রেস্তোরাঁয় ঝগড়ার পর তিনি গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেন।
এরপর একই ব্যক্তি আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আরও তিনটি স্থানে দুই শিশুসহ আটজনকে গুলি করে হত্যা করেন। নিহতদের সঙ্গে বন্দুকধারীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
হামলার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি উল্লেখ করে ন্যাশনাল পুলিশ ডিরেক্টর লাজার সেপানোভিচ বলেছেন, নিহতরা সবাই তার পরিচিত।
রাজধানী পোদগোরিচা থেকে ৩৮ কিলোমিটার পশ্চিমের শহরটিতে তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বন্দুক হামলার ঘটনা। ২০২২ সালের আগস্টে এক বন্দুকধারী দুই শিশুসহ ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দানিলো সারানোভিচ জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে মার্টিনোভিচকে তার বাড়ির কাছে পুলিশ সদস্যরা কোণঠাসা করে ফেলে। এ সময় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়নি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মার্টিনোভিচ অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার রেকর্ড রয়েছে। রেস্তোরাঁয় ঝগড়ার পর তিনি বাড়ি ফিরে এসে বন্দুক নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন।
মন্টেনিগ্রিনের প্রধানমন্ত্রী মিলোজকো স্পাজিক এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়াকভ মিলাতোভিচ বলেছেন, এ ঘটনায় আমিও আতঙ্কিত।