বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছেন, সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় আমিও ব্যথিত। এরচেয়ে বেশি ব্যথিত হওয়ার কিছু হতে পারে, তা আমার জানা নেই।
মঙ্গলবার রাতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের আরও বলেন, সাকিবের মতো খেলোয়াড় আমরা পাবো কিনা জানি না। সাকিব খেলতে না পারার মতো হতাশ আর কেউ হতে পারে না।
সাকিব আল হাসান শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছিল, ১৮ মাসের। তবে জানা গিয়েছিল, সাকিব আপিল করলে সেটা হয়তো ছয় মাসে নেমে আসতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইসিসি দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কমানো হয়েছে আইসিসি থেকেই।
আইসিসি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই সাকিব আল হাসানকে নিয়েই মিডিয়ার সামনে হাজির হলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। প্রথমে কথা বলেন সাকিব আল হাসান। এরপর কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যদিও সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের সুযোগ দেয়া হয়নি।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সাকিবের এই নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। সাকিবের মতো খেলোয়াড় আর কখনও পাবো কি না সন্দেহ। সে বিশ্বসেরা একজন খেলোয়াড়।’
সাকিব না থাকার কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক কঠিন সময় পার করতে হবে বলে জানান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। এই সিরিজ নিয়ে আমাদের যত প্ল্যানিং, তার সবই সাকিবকে ঘিরে করা হয়েছিল। যার কারণে তাকে অধিনায়কও করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সব ভেস্তে গেছে। সামনেও কঠিন সময় পার করতে হবে।’
সাকিবের এসব বিষয় সম্পর্কে বিসিবি কিছুই জানতো না বলে দাবি করছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সাকিব এখানে আছে। সে বড় সাক্ষী। সাকিবের এ বিষয়টা নিয়ে কখন থেকে কি শুরু হয়েছিল, অ্যান্টি করাপশন ইউনিটে কি করেছিল- আমরা তার কিছু জানতাম না। আমরা শুধু রেজাল্টটা জেনেছি। সাকিবই আমাকে দু’তিনদিন আগে বলেছে বিষয়টা নিয়ে। তাও সে কতদিনের শাস্তি পাবে না পাবে কিছুই জানতাম না। আমাদের সঙ্গে কোনো ইন্টারেকশন হয়নি।’
তবুও পাপন জানান তারা সাকিবের পাশেই থাকবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাকিব ভালোভাবেই ফিরে আসবেন। পাপন বলেন, ‘সাকিবের অত্যন্ত খারাপ সময় যাচ্ছে। তার ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। আমরা তার পাশে আছি। তাকে সব সময় সাপোর্ট করবো। আমরা আশা করছি, শিগগিরই সে ভালোভাবে ফেরত আসবে এবং আমাদের আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে।’