Monday, September 15, 2025
Homeঘটনা-দুর্ঘটনারাবি'র হলে মোবাইল চুরি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের বাঁধা

রাবি’র হলে মোবাইল চুরি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের বাঁধা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলে রুম থেকে ২টি মোবাইল চুরির ঘটনায় হলের সাধারন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা প্রদান করে। এমনকি জনৈক সাংবাদিক এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর ছবি তুলতে গেলে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহন মন্ডল, ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টুডের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মুজাহিদ হোসেনকে ধাক্কা দেয় ও লাঞ্ছিত করে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মতিহার হলের ১৪৭ ও ২৫০ নম্বর কক্ষ থেকে দুটি মোবাইল ফোন কে বা কারা চুরি করে৷ এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা হল গেটে অবস্থান নেন এবং গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে শিক্ষার্থীদের বাধা দেন এবং ধমক দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষার্থীরা তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ধমক দিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেন। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক মুজাহিদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহন মন্ডল।

শিক্ষার্থীরা বলেন, হল থেকে ফোন চুরি হয়ে যাওয়ায় আমরা গেটে বিক্ষোভ শুরু করি এবং প্রাধ্যক্ষ স্যারের অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু এর মধ্যে ছাত্রলীগের নেতারা এসে আমাদের ধমকাতে শুরু করেন এবং বাজে ব্যবহার করেন। শেষে আমাদের ভেতরে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া এ ঘটনার আগে সন্ধ্যায় হলের তৃতীয় ব্লকে এসে ছাত্রলীগ নেতা মোহন মন্ডল সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং লাঠি নিয়ে মারতে আসেন।

 

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই এক সঙ্গে হল গেটে গেলে আমাকে ছাত্রলীগ নেতা মোহন ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে বলেন এবং আমাকে ধমকাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন- আপনি কে? আপনাকে এখনই পুলিশে তুলে দিবো- এসব বলে ধমকাতে থাকেন। এর আগেও ছাত্রলীগ নেতা মোহন আমার ব্লকে গিয়ে চেঁচামেচি করে সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।’

সাংবাদিক মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে বাধা দেয়। আমি ছবি তুলতে গেলে আমাকেও বাধা দেয়া হয়। এছাড়াও তৃতীয় ব্লকের সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার সময় ছাত্রলীগ নেতা মোহনের সঙ্গে আমি কথা বলতে গেলে তিনি আমার ওপর রেগে যান। বলেন- আপনি কে? আপনাকে কেন এসব উত্তর দিতে যাব।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments