Saturday, September 13, 2025
Homeপরিবেশশীতে রোগের প্রকোপে মানুষের দুর্ভোগ, রুগীর সংখ্যা বাড়ছে

শীতে রোগের প্রকোপে মানুষের দুর্ভোগ, রুগীর সংখ্যা বাড়ছে

বর্তমানে শীত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ও অন্য বেশকিছু রোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। দৈনিক প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালের আসছেন অথবা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। দেখা গেছে, এদের মধ্যে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশু এবং বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

আজ রোববার সকালে এই তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া গেছে। সেখানকার সহকারী পরিচালক চিকিৎসক আয়শা আক্তার জানান যে, দেশে ক্রমশ ঠান্ডা বেশি পড়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, শীতের রোগের প্রকোপ আসছে কয়েক দিন আরও সামান্য কিছু বাড়তে পারে।

জানা যায়, ২১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৮২৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তার মধ্যে ডায়রিয়ায় চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৭৩৫ জন এছাড়াও জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বর-সর্দি ও চর্মরোগের রুগী দেখা গেছে। তাদের সংখ্যা ১ হাজার ৯৯২ জন। যদিও সাত দিন আগে এসব রোগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা কম ছিল। ১৫ ডিসেম্বর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ৬২৪ জন, ডায়রিয়ায় ১ হাজার ৬৬৬ জন চিকিৎসা নিয়েছিল। আর জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, জ্বর-সর্দি ও চর্মরোগের জন্য ১ হাজার ৯০৩ জন। রুগী অনুযায়ী প্রতিটি রোগই এক সপ্তাহে বেড়েছে দেখা যাচ্ছে।

কন্ট্রোল রুমের কাছ থেকে পাওয়া ১ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বরের একটি হিসাবে দেখা গেছে যে, ওই সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় যাদের মধ্যে মারা যায় ৪৮ জন। রুগীর এই পরিসংখ্যান ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়েছে। এখানে ঢাকা শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের রুগীদের তথ্য নাই।

শিশু চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই সময়ে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবেদ হাসান পরামর্শ দিয়ে বলেছেন যে এই সময় ঠান্ডা বাতাস শিশুদের শরীরে লাগতে দেওয়া যাবে না, শিশুদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরাতে হবে। যাতে তাদের শরীর গরম থাকে। খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গেলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বাড়তে পারে। এই সময় ফুলের রেণু থেকে দূরে থাকতে হবে। ফুলের রেণু অ্যাজমা পরিস্থিতি খারাপ করে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments