Monday, September 15, 2025
Homeরাজধানীদূরপাল্লার গণপরিবহন চালুসহ ৫ দফা দাবি

দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুসহ ৫ দফা দাবি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের মধ্যেই দূরপাল্লার গণপরিবহন  এবং পণ্যবাহী পরিবহন চালুসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনগুলো এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দূরপাল্লার গণপরিবহন খুলে দেওয়াসহ সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিগুলো হলোঃ

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহন এবং স্বাভাবিক মালামাল নিয়ে পণ্য পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।

২. ‘লকডাউনের’ কারণে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আসন্ন ঈদের আগে আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।

৩. লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের (শ্রেণীমত) যানবাহন মেরামত, কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস ইত্যাদি দেওয়ার জন্য নাম মাত্র সুদে ও সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা দিতে হবে। সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য আসন্ন ঈদের আগে ও পরে ১০ টাকায় ও এমএসএর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. করোনার কারণে গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সব ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ক্লাসিফাইড ঋণগুলো আনক্লাসিফাইড করতে হবে।

৫. লকভাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট ফি, আয় কর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, গত ৬ মে থেকে লকডাউন শিথিল রেখে মহানগর ও জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অথচ বাস-মিনিবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে মানুষ যাতায়াত করছে। এতে করোনা আরও বেশি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণ এবং পণ্য পরিবহন চালু করতে দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শাজাহান খান পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে জানান, দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ঈদের নামাজ শেষে সারা দেশের মালিক ও শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া ঈদের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments